কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খাইরুল আমিন নামের ওই রোহিঙ্গা যুবককে ক্যাম্প থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায় আরসা সন্ত্রাসীরা।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে উখিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-১৪ ব্লকে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত খাইরুল আমিন উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-১৪ ব্লকের বাসিন্দা জমির হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি শামীম হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ক্যাম্পে নিজের বসত ঘরের সামনে থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার কমান্ডার মো. সলিমের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত খাইরুল আমিনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। পরে ক্যাম্প সংলগ্ন মোছারখোলা বাঙালি পাড়ায় নিয়ে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় লোকজন ধানক্ষেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও খাইরুল আমিন সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তিনি রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরএসও’তে যোগ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।’
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শামীম হোসেন।