ঈদুল আজহার আগের দিন রোববারও বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কে যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ঘরে ফেরা মানুষ। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এবং বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে মূলত এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার রাতভর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজট লেগে থাকে।
রোববার সকালেও মহাসড়কের সল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে যানজট দেখা গেছে।
সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র সকাল ১০টায় নিউজবাংলাকে জানায়, সেতুর উভয় সংযোগ সড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঈদযাত্রার শেষ সময়ে এসে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া গাড়ি বিকল হয়ে পড়া এবং ছোটখাটো দুর্ঘটনার কারণে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সেতুতে কয়েক দফা টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট অব্যাহত রয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সাজেদুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত গাড়ির চাপসহ নানা কারণে থেমে থেমে যানজট হয়েছে এবং সেতুর দুপ্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমনটা আশা করা হচ্ছে।’
এর আগে শনিবার রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত এলেঙ্গা থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার সড়কে ব্যাপক যানজট ছিল।
ঈদযাত্রায় মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ, রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ফিটনেসবিহীন একাধিক পরিবহন বিকল হওয়া, সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ও চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে রাতভর ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৯৫১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ জানান, সেতুর ওপর পরিবহন বিকল হওয়ায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। বর্তমানে মহাসড়কে গাড়ির টান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
ওদিকে ঢাকাগামী গাড়িগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করার কারণে ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে কোথাও কোথাও পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে।
যানজটের কারণে ঈদে ঘরেফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু-নারীরাও ট্রাক ও পিকআপে চড়ে নাড়ির টানে ঈদ উদযাপন করতে রওনা দিয়েছেন।