বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরে ফেরা মানুষের পদচারণায় মুখর সদরঘাট

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২৪ ২০:৪৩

শনিবার সারাদিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গেই টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীদের উপস্থিতি। সকালে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের চাপ থাকলেও দুপুরের দিকে যাত্রীর উপস্থিতি কমে যায়। তবে বিকেল হতেই যাত্রীর ঢল নামে টার্মিনাল এলাকায়। লঞ্চগুলোতেও দেখায় যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরুর আগের দিন রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। এদিন সকাল থেকে বিকেল গড়িয়ে রাত পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখর থাকতে দেখা গেছে সদরঘাট। ঈদের আনন্দ সঙ্গে নিয়ে যাত্রীবোঝাই লঞ্চগুলো ঘাট ছেড়েছে।

শনিবার সারাদিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গেই টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রীদের উপস্থিতি। সকালে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের চাপ থাকলেও দুপুরের দিকে যাত্রীর উপস্থিতি কমে যায়। তবে বিকেল হতেই যাত্রীর ঢল নামে টার্মিনাল এলাকায়। লঞ্চগুলোতেও দেখায় যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোববার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হলেও এর আগে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই আগেভাগে বাড়ি ফিরছেন। শুক্রবার অনেকে টিকিট কিংবা কেবিন বুকিং করতে না পারায় শনিবার যাচ্ছেন। সেজন্য বিগত কয়েকদিনের তুলনায় আজ যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে।

নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলোর কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগেই শেষ হলেও বিভিন্ন রুটে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোয় এখনও কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা। তবে কেবিনের তুলনায় ডেকের যাত্রীর চাপই বেশি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এমভি প্রিন্স আওলাদের সুপারভাইজার ইহাদ তালুকদার বলেন, ‘আজকে যাত্রীর চাপ আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে। কাল থেকে আরও বাড়বে। ঈদের আগের দিন অনেকেই বাড়ি যাবেন। লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোয় টিকিটেরও ঘাটতি নেই। যাত্রীরা কেবিনের তুলনায় ডেকের টিকিট বেশি নিচ্ছেন।’

ঢাকা-ভাণ্ডারিয়া রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৪ এর টিকিট বিক্রেতা সুমন শেখ বলেন, ‘আমাদের অগ্রিম টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। শুধু ডেকের টিকিট দিচ্ছি। ইতোমধ্যে লঞ্চ ভরে গেছে। যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য এই রুটে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।’

লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘আজকে যাত্রী চাপ বিগত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে। সন্ধ্যা থেকে তা আরও বেড়েছে। এখনও গার্মেন্টস শ্রমিকরা কাজ শেষ করে অনেকেই আসতে পারেননি। আমাদের পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত আছে। যাত্রী বাড়লে লঞ্চ আরও বাড়ানো হবে। টিকিটের কোনো ঘাটতি নেই। রোববার যাত্রী চাপ সামলাতে আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

এদিকে টিকিটের ঘাটতি না থাকায় অনেকটা স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই অগ্রিম টিকিট বুকিং দিয়ে রাখায় পরে এলেও ঝামেলা পোহাতে হয়নি। লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোয় যাত্রীরা ঘাটে এসেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। টার্মিনাল এলাকাতেও তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছেনা যাত্রীদের।

উত্তরা থেকে আসা বরগুনাগামী যাত্রী রাসেল শিকদার বলেন, ‘সকালে রাস্তায় একটু জ্যাম ছিল। বিকেলে এসেই টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। আজ একটু বেশি ভিড় দেখা গেলেও ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারলেই ভালো লাগবে।’

রামপুরা থেকে আসা ভোলাগামী যাত্রী মাবুদা আক্তার বলেন, ‘ভেবেছিলাম ঘাটে এসে টিকিট পাব না, কিন্তু এসে টিকিট পেয়েছি। বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। এবার ভিড় থাকলেও ভোগান্তি নেই।’

এদিকে যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ)। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে লঞ্চ চলাচল করবে বলা জানানো হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত বয়া-জ্যাকেটের ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘যাত্রীর চাপ আগের থেকে বেড়েছে। লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। যাত্রী যতই হোক, কোনো সমস্যা হবে না; পর্যাপ্ত লঞ্চ ঘাটে প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিওটিএ কাজ করছে। নদীপথেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’

নিরাপত্তার বিষয়ে সদরঘাট নৌ-থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। বিশেষ ফোর্সের ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া পুলিশ, নৌ-পুলিশের পাশাপাশি লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় র‍্যাবের একটি টিম আলাদাভাবে কাজ করছে। আনসার সদস্যরাও কাজ করছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর