বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ি ঢলে ভেঙেছে বাঁধ, সুনামগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ   
  • ১৫ জুন, ২০২৪ ১৯:২১

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫১৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে।

সীমান্তের ওপারে মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টি হওয়ায় সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী টইটুম্বুর হয়ে প্লাবিত হয়েছে জেলার কয়েকটি গ্রাম। কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।

জেলার দোয়ারাবাজার সীমান্তের লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া-লক্ষীপুরের মধ্যস্থলের বেড়িবাঁধ শনিবার সকালে ভেঙে গেছে। এর ফলে লক্ষীপুর, নোয়াপাড়া, রসরাই, সুলতানপুর, হাছনবাহার গ্রামের বাসিন্দারা বেকায়দায় পড়েছেন। তাদের বসতঘরে তিন থেকে চার ফুট সমান পানি উঠেছে। এতে খাসিয়ামারা নদীর রাবারড্যামের পাশের বাংলাবাজার সড়কও প্লাবিত হয়েছে।

দোয়ারা বাজারের নোয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষক মছদ্দর আলী জানান, হঠাৎ করেই বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাড়ি, ঘর, দোকান পাঠ, স্কুল প্লাবিত হয়েছে। নোয়াপাড়াসহ আসপাশের প্রায় ৫০টি পুকুর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাছচাষীরা। প্লাবনে অন্তত ১০টি পোল্ট্রি ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত কমলে পানিও দ্রুত নেমে যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আমরা খুবই বেকায়দায় পড়ে গেছি।’

লক্ষ্মীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল-খসরু হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক ফারুক আহমদ জানান, সকাল থেকে প্রবল বেগে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু হয়। সাড়ে নয়টায় ঢলের চাপে খাসিয়ামারা নদীর নোয়াপাড়া-লক্ষীপুরের মধ্যস্থলের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এসময় পাহাড়ি ঢলে লক্ষীপুরের তাছির উদ্দিনের বসতঘর, মুখশেদ আলীর পোলট্রি ফার্ম ও আশরাফ আলীর দোকানঘর ভেসে যায়। এছাড়া এলাকার পাঁচটি গ্রামের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। নোয়াপাড়া থেকে চকবাজার যাওয়ার সড়কটিও পানিতে ডুবে গিয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫১৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে।

তিনি জানান, ওপারের পানি প্রবল বেগে নেমে সুরমা নদীতে পড়ছে। এর ফলে সুরমার পানিও কিছুটা বেড়েছে। তবে সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি শনিবার বেলা ২টার দিকে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে নদীর পানির উচ্চতা কমতে শুরু হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর