ঈদযাত্রায় ঢাকাগামী গাড়িগুলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব গোল চত্বর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কে যানজট এড়াতে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৯ কিলোমিটার পথ ঘুরে এলেঙ্গা চার লেনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
এদিকে তুলনামূলক কম প্রশস্ত এই আঞ্চলিক মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় যানবাহন উঠতে দেয়া হচ্ছে না। এতে স্থানীয়দের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবশ্য আঞ্চলিক মহাসড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা কমলে সাময়িকভাবে স্থানীয় পরিবহনগুলো উঠতে দেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাথাইলকান্দি/যমুনা সেতু বাজার, সিরাজকান্দি বাজার, ন্যাংড়া বাজার, মাটিকাটা, গোবিন্দাসী টি-রোড, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড, শিয়ালকোল বাসস্ট্যান্ড, সিংগুরিয়া ও পালিমাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচলে কখনও ধীরগতি আবার কখনও যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী খান পরিবহনের চালক আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভোর থেকে মহাসড়কে যানজট ছিল। তাই ১৪ কিলোমিটারের রাস্তা সেতু পূর্ব গোল চত্বর থেকে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ২৯ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে এলেঙ্গায় পৌঁছতে হচ্ছে। এ সড়কেও পথে পথে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী প্রান্তিক পরিবহনের চালক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সেতু পূর্ব টোল প্লাজা পার হয়ে পাথাইলকান্দি বাজারে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে জ্যামে আটকে ছিলাম। গাড়ি চলছিলই না। যে যানজট দেখতেছি তাতে মনে হচ্ছে এলেঙ্গায় পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে। এ সড়কটিও এখন গলার কাঁটা।’
এদিকে আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি দিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ঢাকা ও ময়মনসিংহগামী গাড়ি চলাচল করায় স্থানীয় পরিবহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সড়কে উঠতে ঠিকমতো পারছে না। এর ফলে এলাকার রাস্তাগুলো ব্যবহার করছেন স্থানীয় পরিবহন চালক ও যাত্রীরা। এ সুযোগে পরিবহন চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, সকালে মহাসড়কে যানজট ও গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকলেও বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসে। মহাসড়কে এলেঙ্গা অংশে কোনো যানজট নেই। জেনেছি আঞ্চলিক মহাসড়কেও ঢাকাগামী যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলছে।