বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ১৫ জুন, ২০২৪ ১৪:৩৩

হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক শরফুদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘দুটি মহাসড়কে হয়ে যাত্রীবাহী দুর পাল্লার যানবাহনগুলোর গতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে রাজধানী ছাড়তে পারে সে জন্য যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।’

ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও কোথাও যানজট নেই। দুটি মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে চলছে যান।

মহাসড়কের বাস কাউন্টারগুলোতে শনিবার সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা কমে এসেছে। যাত্রীদের হয়রানি রোধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি বাস কাউন্টারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

ঈদের পরও যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে ফিরে আসতে পারেন সে জন্য যানবাহনগুলোর গতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কাজ করবে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা।

মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশ ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা চট্টগ্রাম পথের নারায়ণগঞ্জের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে শিমরাইল, মদনপুর, মোগরাপাড়াসহ মেঘনা পর্যন্ত যানজট এড়াতে ইউর্টান, ইউলোবসহ আলাদা লেন নির্মাণ করায় পূর্বে যেখানে যানজট হতো এবার তা নেই, তবে মেঘনা টোল প্লাজায় আজও যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে।

এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে আড়াইহাজারের পুরিন্দাবাজার পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যান্ড ও চার লেন উন্নতি করণ প্রকল্পের কাজের জন্য যাত্রামুড়া, বরাব, রূপসি, তারাব ও বরপা এলাকা ধীর গতিতে যান চলাচল করছে। এ সড়কটিতে শুক্রবার রাতে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ছিল।

তা ছাড়া ঢাকা-মদনপুর বাইপাস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়কের নয়াপুর, বসতল, ভুলতা ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রূপগঞ্জের তারাব বিশ্বরোড পর্যন্ত যানবাহন চাপ রয়েছে।

গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ সড়ক ও মহাসড়কের বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও কোথাও যানজট নেই বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক শরফুদ্দিন আহাম্মদ।

তিনি বলেন, ‘দুটি মহাসড়কে হয়ে যাত্রীবাহী দুর পাল্লার যানবাহনগুলোর গতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। বিভিন্ন পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হওয়ার রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে রাজধানী ছাড়তে পারে সে জন্য যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।’

তবে আজও নির্ধারিত সময়ে বাস না আসা ও বাড়তি ভাড়ায় বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা।

যাত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘এদিকের রাস্তা ফাঁকা, তবে ঢাকা থেকে বাসগুলো ছেড়ে আসতে অনেক সময় লাগছে। ফলে ৯টার বাস ১১টা পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। বাস যখনি আসুক পরিবার নিয়ে ঈদ করতে নোয়াখালীর বাড়িতে যেতে হবে।’

সিলেট পথের যাত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘গতকাল কারখানা ছুটি দিয়েছে। আজ বাড়ি যাচ্ছি, কিন্তু টিকেটের দাম বেশি। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১৫০ টাকা বেশি নিয়েছেন।’

কিশোরগঞ্জের যাত্রী ময়না বেগম বলেন, ‘নিয়মিত ভাড়া ২০০ থেকে আড়াইশত টাকা অথচ আজ নিয়েছে ৪০০ টাকা। অভিযোগ করে কী হবে, ভাড়া তো বেশি নিবেই। প্রতি ঈদেই তারা ভাড়া বেশি নেই।’

এদিকে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ ও বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাইনবোর্ডে অবস্থিত দূরপাল্লার বাস কাউন্টার এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম বলেন, ‘ঘরমুখী যাত্রীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সে জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকে সাইনবোর্ড এলাকা যাত্রীদের সাথে কথা বলে ভোগান্তির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। যেখানে বাড়তি ভাড়া নেয়া হয়েছে সেখানে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া যে বাস কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা ছিল না, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাঁচ বাস কাউন্টারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশ দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি পারাপার হয়েছে। সড়কটি হয়ে ৬৩ হাজার ৫৫০টি যান মেঘনা টোল প্লাজার পার করে পূর্ব দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে গেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক জনপদে বিভাগের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাসা ফৈরদোস।

তিনি জানান, বিগত ঈদে সর্বোচ্চ ৫৫ থেকে ৬০ হাজার গাড়ি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক পারি দিলেও এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে, তবু এ সড়কের কোথাও যানজট নেই। কারণ ঈদের আগেই সড়ক জনপদ বিভাগ সব রকম প্রস্তুতি রেখেছে।

এ বিভাগের আরো খবর