কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি পশুবাহী যানবাহন চলাচল করছে মহাসড়কে। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাপ বাড়লেও ছিল না যানজট।
মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার অংশ স্বস্তিতেই পার হন যাত্রী ও বিভিন্ন পরিবহনের কর্মীরা।
সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজার, চান্দিনা, নিমসার, সেনানিবাস, আলেখারচর, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানবাহন পৌঁছালে ধীরগতিতে ওইসব এলাকা পার হতে হয়।
মহাসড়কের যান চলাচলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের দাউদকান্দি, গৌরীপুর, নিমসার, পদুয়ারবাজার, চৌদ্দগ্রামসহ যেসব স্থানে যানবাহন ধীরগতিতে চলে, সেগুলোর জন্য দায়ী ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা পথচারীরা। তাদের কারণে মহাসড়কের বাজারসংলগ্ন এলাকায় যানবাহনকে ধীরগতিতে চলতে হয়, তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও পশুবাহী পরিবহনগুলো যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে, সে জন্য হাইওয়ে পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
এদিকে ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা স্বস্তিকর করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে কোনো ধরনের সংস্কারকাজ করা হবে না বলে জানান সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা।
তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও অন্য আঞ্চলিক মহাসড়কে এখন সংস্কারকাজ করা হবে না। মহাসড়কে তেমন সমস্যাও নেই। তারপরও ঈদে কোনো সমস্যা হলে যেন দ্রুত সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে তৎপর থাকবেন সওজের কর্মীরা।