ঈদের ছুটির প্রথম দিন শুক্রবার রাতে যানজট থাকলেও পরের দিন শনিবার চাপমুক্ত ছিল রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার উপজেলার সড়ক।
সকাল থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার অন্যতম পথ ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, উলাইল, সাভার, নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল, ডিইপিজেড, শ্রীপুর, জিরানী বাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে হালকা যানবাহনের চাপ থাকলেও ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন মানুষ।
কুড়িগ্রামের যাত্রী আফজাল মিয়া বলেন, ‘আমরা একটু কৌশল অবলম্বন করেছি। বিকেলে গাড়ির ও যাত্রীর চাপ একটু বেশি থাকে। সকালে যে থাকে না, এমনটাও নয়, তবে এবার সকালে খুব একটা যাত্রীর চাপ নেই।
‘প্রতিবারই নবীনগর থেকে চন্দ্রা পৌঁছাতে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা লাগত, কিন্তু এবার এতটা যানজটও সৃষ্টি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় যানজট ছিল। তাই সকালে একটি বাস রিজার্ভ করে গ্রামের উদ্দেশে আমরা প্রায় ৩৬ জন রওনা করেছি।
‘সাভার থেকে চন্দ্রা পৌঁছাতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি লাগেনি, তবে বাড়ইপাড়া থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ধীরগতি রয়েছে। চন্দ্রার পরে কী অবস্থা, তা বলতে পারছি না।’
আনিতা পরিবহনের চালক জাভেদ মিয়া বলেন, ‘বাইপাইল থেকে চন্দ্রা পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ৪০ মিনিট। স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি সময় লাগলেও ঈদযাত্রায় অনেক অনেক কম সময়। যানজটে যাতে পড়তে না হয়, সকালে বের হয়েছি, তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
‘যাত্রীর চাপ বাড়লেই যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে। ফলে যানজট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্যবারের চেয়ে এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির।’
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, ‘সড়কে হালকা যানবাহনের চাপ থাকলেও কোনো ধরনের যানজট নেই। সকালের মহাসড়কের চিত্র হচ্ছে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
‘পুলিশ সড়কে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। এবার সবাই নির্বিঘ্নে গ্রামে যেতে পারছেন।’