পটুয়াখালীর যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার মো. মাহাতাব খন্দকারের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রেস ক্লাবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বরুনবাড়িয়ার বাসিন্দা মাসুম খান।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুম খানসহ তার পাঁচ ভাই-বোন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মাসুম খান বলেন, ‘আমরা চার ভাই ও তিন বোন। আমার মায়ের বাবার বাড়ি পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের টাউন কালিকাপুরে। ওয়ারিশ সূত্রে সাত শতাংশ জমির মালিক আমরা। আমার মা রাহিমা বেগম মৃত্যুবরণ করায় আমরা ভাই-বোন ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত সাত শতাংশ জমির মালিক বিদ্যমান থাকি।
‘আমি রুটিরুজির জন্য মালয়েশিয়ায় থাকার সুযোগে আমার মামাতো ভাই পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার মো. মাহাতাব খন্দকার আমার অশিক্ষিত ছয় ভাই-বোনকে প্রতারণার মাধ্যমে নানা বাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি রেকর্ড করে দেয়ার কথা বলেন। তিনি এক কপি করে ছবি নিয়ে সাত ভাই বোনের মধ্যে চার ভাই কবির খান, সোহাগ খান, বাহাদুর খান ও রেহেনা বেগমের স্বাক্ষর নেয় এবং আমার (মাসুম খান), বোন সাহিদা বেগম ও ঝর্না বেগমের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোর্ট থেকে ছোলে মূলে দলিল করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেশে এসে জাল দলিল করার খবর পেয়ে কোর্ট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি চলমান রেখে উক্ত সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি আমার মামাতো ভাই সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকার কোর্ট থেকে মামলার নথিপত্র গায়েব করে আমাদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তিতে বিশেষ করে এ জমিতে নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি স্থাপনা করার পাঁয়তারা করছেন।’
মাসুমের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেগুলো অস্বীকার করে সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকার জানান, ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করে দলিল দিয়েছেন।