বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার বিষোদগার করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজকের এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী ওই বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আর সেজন্যই চক্রান্তমূলকভাবে ২১ আগস্টের মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে।
‘বাংলাদেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য সুশীল ভদ্রলোকদের সমাজে টিকে থাকাকে অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। স্বার্থান্ধতা, ঔদ্ধত্য, অসহিষ্ণুতা ও মহা দুর্নীতিকে পর্দার আড়ালে রেখে সরকার এখন তারেক রহমানকে নিয়ে বিষোদগার করছে।’
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘২১ আগস্টের বোমা হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে যুক্ত করা হয়েছে। তারেক রহমানের ভাবমূর্তি করতে এটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তারেক রহমানের নাম চার্জশিটে যুক্ত করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, চারদিক থেকে ব্যর্থ আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক বিরোধের ছায়াকে প্রলম্বিত রাখতে চায় অশুভ উদ্দেশ্যে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার থাকলে লুটেরা, টাকা পাচারকারী এবং ক্ষমতাঘনিষ্ঠ ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় শাস্তি হতো।
‘ডামি সরকার জনপীড়ক ও অত্যাচারী বিচারশূন্য প্রশাসন ও আইন বিভাগ দিয়ে গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। যখন সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের কলঙ্কিত দুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে এবং দুর্নীতির মহামারীতে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বড় বড় কর্মকর্তাদের অভিনব দুর্নীতির সংবাদ ভাইরাল হচ্ছে তখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের হুমকি গভীর চক্রান্তের অংশ।
‘আমি জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক ও চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান নেতা তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’