বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেন্টমার্টিন থেকে এসেছে যাত্রী, টেকনাফ থেকে পণ্যবাহী ট্রলার যায়নি

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৩ জুন, ২০২৪ ১৯:৪০

মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের একাধিক ঘটনায় সাতদিন বন্ধ থাকার পর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ-চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আড়াই শ’ যাত্রী নিয়ে অন্তত ১০টি ট্রলার টেকনাফের মুন্ডারডেইল ঘাটে ভেড়ে। তবে সাগর প্রতিকূল থাকায় পণ্যবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের একাধিক ঘটনার কারণে ৭ দিন বন্ধ থাকার পর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে ট্রলার চলাচল।

বৃহস্পতিবার আড়াই শ’ যাত্রী নিয়ে অন্তত ১০টি ট্রলার টেকনাফের মুন্ডারডেইল ঘাটে ভেড়ে। তবে সাগরে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে পণ্যবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার সাগর উপকূলের পয়েন্ট দিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারযোগে এসব মানুষ মূল ভূখণ্ডে ফিরে আসেন।

সেন্টমার্টিনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টেকনাফের মুন্ডারডেইল ঘাটে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা

এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এসব ট্রলার থেকে লোকজনকে সরাসরি তীরে উঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। পরে কয়েকটি ডিঙ্গি নৌকা উপকূলের কিছু দূরে সাগরে অবস্থানরত ট্রলারগুলোর কাছে পাঠানো হয়।

ইউএনও বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে তিনটি ট্রলারযোগে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় তিন শতাধিক মানুষ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়। বিকেল ৩টার দিকে ট্রলারগুলো টেকনাফের মুন্ডারডেইল সাগর উপকূলে পৌঁছে। কিন্তু সাগরের প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে পণ্যবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনে পাঠানো সম্ভব হয়নি।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, গত সাতদিন দ্বীপে আসা-যাওয়া বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এখন বিকল্পভাবে ট্রলার চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি মিলছে। যে ট্রলারগুলো গেছে ওইসব ট্রলার নিয়ে টেকনাফে থাকা মানুষ ফিরে আসবে।’

টানা ৭ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিনে যাত্রী আসা-যাওয়া এবং পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও আদনান জানান, বৃহস্পতিবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সাগরের বিকল্প পথে যাত্রী পারাপার শুরু হলেও পণ্যবাহী কোনো ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ ছাড়েনি।

টেকনাফের নাফ নদীর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কাছে টানা দুদিন ধরে বড় আকারের একটি জাহাজের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আর সেই জাহাজ ও মিয়ানমারের স্থলভাগে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চলেছে গোলাগুলি। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকায়।

এ বিভাগের আরো খবর