সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের এক পশু হাটে নিজের পালন করা ষাঁড়ের লাথিতে এক খামারির মৃত্যু হয়েছে। মনু মিয়া নামের ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালি গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় কোরবানি পশু হাটে এ ঘটনা ঘটে।
তবে, নিহতের শ্যালক বশির মিয়া জানিয়েছেন, ষাঁড়ের লাথিতে নয়, বাজারে গরু বিক্রি করতে গিয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, নিজেদের পালিত একটি বড় ষাঁড় নিয়ে পশুর হাটে নিয়ে আসেন মনু মিয়া ও তার ভাই নানু মিয়া। গরুর গলায় বাঁধা দড়ির একাংশ হাতে ধরে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নানু মিয়া এবং পিছন দিকে দাড়িয়ে ছিলেন মনু মিয়া। হঠাৎ ষাঁড়টি পেছনে থাকা মনু মিয়ার গোপনাঙ্গে লাথি দিলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে স্থানীয় বাজারের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুস সাত্তার নামের এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী বলেন, ‘বাদাঘাট বাজারে গরু কিনতে এসে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ ষাঁড়টি উত্তেজিত হয়ে মালিকের গোপনাঙ্গে লাথি দিলে মাটিতে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।’
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম বলেন, ‘পশুহাটে ষাঁড়ের লাথিতে নয় হার্ট অ্যাটাক করে এক খামারির মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’