বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশুর হাটে বাড়ছে রঙিন মালা দড়ির চাহিদা

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২৪ ১৬:১৩

গাবতলী পশুর হাটের ফটকের ডান দিকে ছোট একটি দোকানে মালা ও দড়ি সাজিয়ে বসেছেন ভোলা জেলার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা বছর আমি দেশে পানের ব্যবসা করলেও গত ১৭ বছর ধরে কোরবানির ঈদে গাবতলীতে মালা ও রশির দোকান দিই। এই বছর প্রায় দুই লাখ টাকার মাল তুলছি। বেচাকেনা শেষে দুই লাখ টাকা লাভ থাকবে আশা করি।’

কোরবানির ঈদের বাকি আর কয়েক দিন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেপারিরা গরু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেছেন। এমন বাস্তবতায় পশুর হাট যেমন ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে, তেমনই জমেছে হাটে আসা পশুর গলার মালা ও দড়ির দোকানগুলোতে বিক্রি।

সারা বছর এ মালার তেমন একটা কদর না থাকলেও কোরবানিতে বাড়ে চাহিদা।

হাটে আসা ক্রেতাদের কোরবানির পশু কিনেই যেন দায়িত্ব শেষ হয় না। গরুর সাজসজ্জাটাও হওয়া চাই মনের মতো।

পশু নিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পথচারীদের নজর কাড়তে চান অনেকে ক্রেতা। সেই চাহিদা পূরণ করছে পশুর মালা ও দড়ির দোকানিরা।

রাজধানীর সর্ববৃহৎ গরুর হাট গাবতলীতে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, বর্ণিল মালা, ঘণ্টা, দড়িসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে দোকান সাজিয়ে বসে আছেন মৌসুমি মালা ও দড়ি বিক্রেতারা।

গাবতলী গরুর হাটে ঢুকে ডান দিকে গেলেই সোজা লাইনে বেশ কয়েকটি মালা, রশি ও ঘণ্টার দোকানের দেখা মেলে। দোকানের সামনে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা নানা রঙের মালা, ছোট-বড় ঘণ্টা ও রশি।

মাঝারি আর বড় পশুর ক্রেতারা গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় আগ্রহের সঙ্গেই ঘণ্টা, মালা কিংবা রশি কেনেন।

বড় গরুর সঙ্গে সাধারণত বেপারিরাই রঙিন মালা, রশি ও ঘণ্টা ক্রেতাদের ফ্রি দেন। গরু কেনার পর ক্রেতারা যেন সেটি সামলাতে পারেন, সে জন্য লাঠিও বিক্রি করা হয়। প্রতিটি লাঠির দাম ৫০ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত।

শুধু গলা নয়, গরুর চোয়ালের জন্যে আছে মালা। এটি বেল্টের মতো। এখানে জরি কাগজ ও কাপড় থাকে। মূল্য একেকটার একেক রকম। এর সঙ্গে থাকে গরুর কপালের প্লেট। এসব প্লেটের বেশির ভাগেই চাঁদ-তারার নকশা। এগুলো বড় গরুর ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় বেশি।

প্রকারভেদে মালা ও দড়ির দাম ভিন্ন ভিন্ন। আছে ভিন্ন ভিন্ন নামও।

গাবতলী পশুর হাটের ফটকের ডান দিকে ছোট একটি দোকানে মালা ও দড়ি সাজিয়ে বসেছেন ভোলা জেলার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা বছর আমি দেশে পানের ব্যবসা করলেও গত ১৭ বছর ধরে কোরবানির ঈদে গাবতলীতে মালা ও রশির দোকান দিই। এই বছর প্রায় দুই লাখ টাকার মাল তুলছি। বেচাকেনা শেষে দুই লাখ টাকা লাভ থাকবে আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার গত ঈদের চেয়ে মালা-রশির দাম পিসপ্রতি ৫০ টাকা বাড়ছে। এগুলো আমি মিরপুর বিহারি ক্যাম্প থেকে পাইকারি কিনে নিয়ে আসি। ওইখানেই এগুলো বানানো হয়।’

তার পাশেই পশুর মালা ও দড়ির দোকান সাজিয়ে বসা নুরনবী বলেন, ‘আমার এখানে বিভিন্ন ধরনের মালার বিভিন্ন রকম দাম রয়েছে। এগুলো সব বাংলাদেশেই তৈরি হলেও নাম পাকিস্তানি। চায়না নামেও হয়।’

কোনটার নাম কী আর দাম কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই যেমন একটার নাম আয়না সেট। এর দাম ৮০০ টাকা। চায়না সেটের দাম ৭০০ টাকা। জর্জেট সেটের দাম এক হাজার টাকা।

‘কালো ঘণ্টি ৭০০ টাকা, বেল ঘণ্টি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চায়না মোকা ২৫০, আয়না ঘণ্টি ২৫০, তিন ঘণ্টি ২০০, কলাপাতা ৪০০, লেভেল আয়না ১০০, টাই ৫০, জরি ৩০, কপালি ১০০, তাজ ১৫০ এবং দড়ি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।’

ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, মালা ও দড়ির চাহিদা তত বাড়বে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর