কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সাতদিন ধরে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে খাদ্যপণ্যের সংকট এড়াতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেখানে পণ্য নেয়া এবং সীমিত সংখ্যায় যাত্রী আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান।
তিনি জানান, গুলিবর্ষণের ঘটনায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চালাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপে খাদ্যপণ্য সংকট তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রী আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিকল্প পথ কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়ার জেটি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে পণ্যবাহী ট্রলার যাবে সেন্টমার্টিনে। একইসঙ্গে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে নতুন চ্যানেলে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সীমিত আকারে যাত্রী আসা-যাওয়া শুরু হবে।
দ্বীপের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, টেকনাফের নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অজ্ঞাত একটি অস্ত্রধারী গোষ্ঠী। ওই গোষ্ঠী টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ট্রলার বা স্পিডবোট চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসীরা ওই রুটে ট্রলার বা বোট দেখলেই গুড়ি ছুড়ছে।
সবশেষ মঙ্গলবার পাঁচজন যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এর আগে ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় নির্বাচনি সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়। ৮ জুনও পণ্যবাহী একটি ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে।
এভাবে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে একের পর এক গুলিবর্ষণের ঘটনায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বন্ধ রয়েছে সার্ভিস ট্রলারসহ নৌযান চলাচল। এ কারণে দ্বীপটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। আবার অনেক রোগী সেন্টমার্টিন থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডে চিকিৎসার জন্য আসতে পারছে না।