বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘রাজা বাবু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ লাখ টাকা

  • ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি   
  • ১২ জুন, ২০২৪ ১৭:১৪

ভৈরব শহরের কমলপুর নিউ টাউন এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম রুজেন। কোরবানির ঈদের বিক্রির জন্য তিনিই প্রস্তুত করেছেন এই ষাঁড়।

৬ লাখ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাড়ে ২২ মণ ওজনের ‘রাজা বাবুর’।

ভৈরব শহরের কমলপুর নিউ টাউন এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম রুজেন। কোরবানির ঈদের বিক্রির জন্য তিনিই প্রস্তুত করেছেন এই ষাঁড়।

তিনি জানান, তার খামারের নিজস্ব গাভির উৎপাদিত ফ্রিজিয়ান জাতের কয়েকটি ষাঁড় গরুর মধ্যে এ বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য রাজা বাবু নামের উন্নত জাতের বড় গরুটি প্রস্তুত করেছেন। খামারে উৎপাদিত গরু সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করে থাকেন। দেশীয় খাবার খড়, ঘাস, ভুসি খাওয়ানো হয়।

খামারী আশরাফুল আলম রুজেন বলেন, ২৬ বছর যাবত খামারে গরু লালন পালন করে আসছি। প্রতি বছরই কোরবানির সময়ে আমার খামারের নিজস্ব গরু থেকে উৎপাদিত বড় বড় গরু মোটাতাজা করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে থাকি।

তিনি বলেন, দেশীয় উপায়ে আমার খামারের গরু লালন-পালন করি। কোনো ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয় না। আমাদের ৯০০ কেজি ওজনের রাজা বাবুকে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করব। এর মধ্য অনেকে ক্রেতাই রাজা বাবুকে দেখতে এসেছেন তারা দেখে বিভিন্ন পরিমাণে দরদাম করছেন।

কেউ কেউ ৩-৪ লাখ টাকা দাম বলেছে কিন্ত এই দামে রাজা বাবুকে বিক্রি করবেন না বলে তিনি জানান। যেহেতু ঈদের আরও সময় রয়েছে তাই কয়েকটি বাজার দেখে রাজা বাবুকে বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।

খামারের পরিচর্যাকারী সুলতান মিয়া বলেন, আমাদের খামারের গাভির বাচ্চা হলো রাজা বাবু। তাকে ৩ বছর যাবত খড়, ঘাস, ভুসি, ছোলা খেতে দিয়েছি। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ইনজেকশন ছাড়াই গরু লালন পালন করে মোটাতাজা করা হয়েছে। এখন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য দেশীয় খাবার দিয়ে বড় করা হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান তরফদার জানান, খামারি আশরাফুল আলম রুজেনের খামারে উৎপাদিত ফ্রিজিয়ান জাতের ৯০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরু কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করেছেন। ষাঁড় গরুটির নামকরণ করেছেন রাজা বাবু। তার খামারে রাজাবাবুকে দেখতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা প্রতিদিনই ভিড় করছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানকার খামারিরা সারা বছর আমাদের তত্ত্বাবধানে ছিল। পশু মোটাতাজাকরণে তারা খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। খামারিরা তাদের তত্ত্বাবধানে থাকায় এখানকার উৎপাদিত পশুগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ। এ বছর ২১০০ খামারে ১৮ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এসব পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় বিক্রি করা যাবে বলে তিনি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর