মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় হত্যা মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ওই মামলার আরও ৭ আসামিকে বেকসূল খালাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন উর্মি এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হাছান ছারওয়াদী।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মান্নান চোকদারের ছেলে ৪৮ বছর বয়সী নূর হোসেন চোকদার ও ৩৮ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের ছাদেকুল ইসলাম ও তার ভাতিজা শাকিল বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের রাস্তায় এলে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাসহ আরও ৭ জন মিলে ছাদেকুলকে পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধর করেন। এসময় আসামি নূর হোসেনের হুকুমে আনোয়ার হোসেন গুলি ছোড়েন। এরপর নূর হোসেন রামদা দিয়ে ছাদেকুলকে কুপিয়ে জখম করে। অন্যান্য আসামিরাও ছাদেকুলকে পিটিয়ে সারা শারীর জখম করেন।
গুলির শব্দ পেয়ে ছাদেকুলের মেয়ে শারমিন ও তার চাচী হালিমা বেগম এগিয়ে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ছাদেকুলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ছাদেকুলের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ থানায় ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেয়।
মামলার পর থেকে অবশ্য দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সরকার পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম পল্টু বলেন, ‘আদেশের সময় খালসপ্রাপ্ত ৭ আসামি আদালতে হাজির থাকলেও দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হাজির ছিল না। বিচারকের রায় রাষ্ট্রপক্ষ আমরা মেনে নিয়েছি। তবে খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে বাদী ওই ৭ আসামির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।’