বিয়ের দাওয়াত না দেয়াকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে দুই পরিবারের মারামারিতে নিলিমা সিকারী নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. জসিম।
তিনি জানান, বিয়ে অনুষ্ঠানের দাওয়াত না দেয়াকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মধ্য ধরান্দি গ্রামে সিকারী ও রায় পরিবারের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় নিলিমা সিকারী নামের ৪৫ বছর বয়সী এক নারী গুরুতর আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত নিলিমা সিকারী সুনীল সিকারীর স্ত্রী।
ধরান্দি ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন জানান, ৭/৮দিন আগে নিলিমার স্বামী সুনীলকে তার নাতনির বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ার কারণ জানতে চায় পাশের বাড়ির রণজিত রায়। তখন তাদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর রেশ ধরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায় পরিবারের রণজিত, জয়দেবসহ আরও ৫-৬জন সিকারী বাড়িতে গিয়ে সুনীলকে খুঁজতে থাকে। এসময় বাড়ির উঠানে সুনীলের ছেলে সুমিতের সঙ্গে জয়দেব-রণজিতদের মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিকারী বাড়ির সবাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় অসুস্থ্য নিলিমা ঝগড়া থামাতে গেলে রায় পরিবারের লোকজনের লাঠির আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
নিহতের ছেলে সুমিত সিকারী জানান, ‘৭/৮দিন আগে আমার শালীর বিয়ে হয় কলাপাড়া উপজেলায়। অনুষ্ঠান শেষে বাবার সঙ্গে বিয়ের দাওয়াত নিয়ে রায় পরিবারের রনজিতের নানা ধরনের কথা হয়। এক পর্যায়ে রনজিদ রায় আমার শালীকে নিয়ে নানা ধরনের কটুক্তিও করে।
‘এ ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রবাভিত করতে তখন থেকেই রায় পরিবারের লোকজন উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল। আজ সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই রণজিত, জয়দেবসহ আরও ১০-১২ জন লোক এসে হঠাৎ আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার মা আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর বিকেলে সে মারা যায়।’
এ ব্যপারে রায় পরিবারের রণজিত ও জয়দেবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ওসি মো. জসিম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।