বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গজারিয়ায় আড়াই হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

  • প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)   
  • ১১ জুন, ২০২৪ ১২:০৬

তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘গজারিয়া উপজেলায় বৈধ গ্রাহকের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। এই এলাকায় তিতাসের সিস্টেম লস প্রায় ৪২ শতাংশ।’

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১২ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

এসব লাইনের মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ সংযোগ চলছিল বলে জানিয়েছে তিতাস। রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা যেন লাইন নিতে না পারেন, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এ অভিযানে।

সোমবার সকাল ১১টা থেকে থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

তিনি জানান, অভিযানে বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া, মধ্য বাউশিয়া, পোড়াচক বাউশিয়া ও দড়ি বাউশিয়া গ্রামের ১২ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাইন চারটির মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ সংযোগ চলছিল। এ সময় দুই হাজার মিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইনের পাইপ উঠিয়ে নিয়ে যায় তিতাস।

তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘গজারিয়া উপজেলায় বৈধ গ্রাহকের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। এই এলাকায় তিতাসের সিস্টেম লস প্রায় ৪২ শতাংশ। গ্যাস চুরি প্রতিরোধে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা তারপরও কোনোভাবেই অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের আটকানো যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘বাধ্য হয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। গ্যাস চুরি প্রতিরোধে একাধিক কমিটি গঠন, নিয়মিত টহল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাস চুরির সাথে যারা জড়িত ধারাবাহিকভাবে তাদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।’

এর আগে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে তিতাস।

কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ উপজেলায় বৈধ গ্রাহকদের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে এ এলাকায় ২০ দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর