গাজীপুরের ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর বাবা, মা, ভাইসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। হত্যা হলে পরিবারের সদস্যদের কী কষ্ট লাগে, তার চেয়ে বেশি কেউ বোঝে না। তিনি ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন হত্যার ঘটনাটি জানেন। ভারতে যাওয়ার সময় এ বিষয় নিয়ে আমারও প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশ প্রধানকে হত্যাকারীদের খুঁজে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলেছেন।’
সোমবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পের আওতায় নারী কর্মীদের সঞ্চয়ের চেক হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান শেষে আল-আমিন হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে তার পরিবার ও এলাকাবাসী ছুটে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহম্মেদ, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস, উপজেলা প্রকৌশলী বিপ্লব পাল, কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন শাহীন, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফা আক্তারসহ আরও অনেকে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের ছাত্রনেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বাদশ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিনকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু নেতা-কর্মী। সেটা আমরা সরেজমিনে না দেখলেও ভিডিওর মাধ্যমে দেশবাসী দেখেছেন। কাজেই কে তাকে মেরেছে- এ বিষয়ে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরেই আছে।
‘হত্যাকারী যে দলেরই হোক তাদের ঘৃণা করি, নিন্দা জানাই। আর প্রশাসনকে আগেও বলেছি, এখনও বলছি। যেহেতু খুনিরা বাংলাদেশের ভেতরেই আছে, যেভাবেই হোক তাদের খুঁজে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আমাদের সরকার সাবেক পুলিশ প্রধানের অপকর্মের বিরুদ্ধেও কীভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রধান, যারা অন্যায়-অপকর্ম-বেআইনি কাজ করেছে, তারাই ছাড় পায়নি। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন হত্যাকারীরা তো ছাড় পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
‘এই খুনের বিচার না হলে খুনিদের সাহস বেড়ে যাবে, আরও খুন-খারাপি হবে। মরা মানুষটিকে তো ফেরত দেয়া যাবে না, তবে এই খুনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আনার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
এর আগে, অনুষ্ঠানে আরইআরএম পি-৩ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৯১ জন নারী কর্মীর প্রত্যেককে ১ লাখ ২০ হাজার ৫০৫ টাকার করে চেক প্রদান করেন মন্ত্রী। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।