নানা প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বাইরে পাচারের চেষ্টা করা খাগড়াছড়ির পানছড়ির দুই নারীসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকার তুরাগ থানার উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের প্রিয়াংকা সিটির সাবদার হোসেন রোডের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে রোববার তাদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পাচার চক্রের সদস্য ও চীনা নাগরিক সিয়াও সুসুইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার তথ্যেই ওই নারীদের গ্রেপ্তার এবং চক্রের মূলহোতা সুমি চাকমা হেলিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে প্রেসব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ১ জুন সকালে পাচারের চেষ্টা করা এক নারী ও তার বান্ধবী পানছড়ি থেকে প্রথমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে খাগড়াছড়ি সদরে আসেন। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি সদর থেকে বাসে করে ঢাকায় যান তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকায় পৌঁছার পরে মোবাইলে যোগাযোগ করে মানবপাচারকারী মূলহোতা সুমি চাকমা ওরফে হেলির সঙ্গে। তিনি তাদেরকে ঢাকার উত্তরায় এক বাসায় নিয়ে তাদের মোবাইল কেড়ে নেন এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে তাদেরকে ঘরে আটক করে রাখেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা পরস্পর পাশের জেলার এবং উদ্ধার অন্যদেরও একই প্রলোভন দেখিয়ে চীনে পাচার করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে এনে তাদের ওই বাসায় আটক করে রাখেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রথম ভুক্তভোগীর মা গত ২ জুন ও ৪ জুন দ্বিতীয় ভুক্তভোগীর মা খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
পরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের সার্বিক দিক নির্দেশনায় তাদের নিখোঁজ সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে পানছড়ি থানার অফিসারদের সমন্বয়ে একটি আভিযানিক ও চৌকস টিম গঠন করা হয়।
বিভিন্ন তদন্ত কৌশল অবলম্বন করে দেশব্যাপী সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে পানছড়ি থানা পুলিশের দলটি। গোপন সংবাদে এক পর্যায়ে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকায় সুমি চাকমার ও সিয়াও সুসুইয়ের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটির বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য দুই আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে।