সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ঢাকায় বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডগুলোতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উদ্বেগজনক উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এসব স্ট্রিট ফুড গ্রহণকারী বেশিরভাগ লোক অসুস্থ হচ্ছে না।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের প্রধান বিজ্ঞানী এবং ফুড, নিউট্রিশন অ্যান্ড এগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. মো. লতিফুল বারী। খবর ইউএনবির
শনাক্ত করা ব্যাকটিরিয়াগুলো ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণ হিসেবে পরিচিত। তবুও গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার ভোক্তার মধ্যে কেবল দুজন ই. কোলি, চারজন সালমোনেলার ও কেবল একজন ভিব্রিওর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ মাত্রার দূষণ সত্ত্বেও রাস্তার এসব খাবার গ্রহণকারী বেশিরভাগ লোক অসুস্থ হচ্ছে না। এর কারণ এখনও অজানা।
‘প্রিভেলেন্স অব মাইক্রোবিয়াল হ্যাজার্ডস ইন স্ট্রিট ফুড অ্যান্ড রেডি-টু-ইট সালাদ আইটেম ইন রেস্টুরেন্টস অ্যান্ড দেয়ার প্রবাবল রিস্ক অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রকল্পটি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) অর্থায়নে করা হয়েছে।
চটপটি, ছোলা মিশ্রণ, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরার রস এবং মিশ্র সালাদের মতো আইটেমগুলোতে অত্যধিক পরিমাণে ই. কোলি, সালমোনেলা এসপিপি এবং ভিব্রিও এসপিপি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
ড. বারীর দল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭টি জোনের ৪৫০টি নমুনা পরীক্ষা করেন। রোববার সকালে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ড. বারী দূষণের জন্য দূষিত পানি, নোংরা তোয়ালে, অপরিষ্কার হাত ও ধুলাবালি আক্রান্ত পরিবেশকে দায়ী করেছেন। তিনি বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবকে এই সমস্যার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের নিয়মিত মনিটরিং ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. বারী।
তিনি বলেন, ‘বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের উন্নতি করা এবং প্রতিদিন এসব তদারকি করা জনসাধারণের জন্য রাস্তার এসব খাবার নিরাপদ করতে প্রয়োজন।’