প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্ট বিভাগের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্র পক্ষে আনা আবেদনের ওপর ৪ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করে রোববার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। সূত্র: বাসস
আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট বিভাগ। ওই রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে।
তাতে বলা হয়েছিল, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। সেখানে নারী কোটা ১০, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০, জেলা কোটা ১০, উপজাতি কোটা ৫ ও প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।
পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট বিভাগ। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট বিভাগ।