বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাকরিতে কোটা: হাইকোর্টের রায় বাতিলে আলটিমেটাম শিক্ষার্থীদের

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৯ জুন, ২০২৪ ১৩:৪৬

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ঢাবি ছাত্রী তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমি নারী হয়ে বলছি, আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে উপেক্ষা করে যে রায় দিয়েছে, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।’

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিলের দাবিতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যদালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ সময়ের মধ্যে রায় বাতিল করা না হলে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে রোববার হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ওই আলটিমেটাম দেন।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ওই বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে ক্যাম্পাস ছাড়েন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ধরনের স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ঢাবি ছাত্রী তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমি নারী হয়ে বলছি, আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে উপেক্ষা করে যে রায় দিয়েছে, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।’

বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন রিহাম বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়কে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোটা প্রথা বিদ্যমান রাখার জন্য, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন উনি কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী নাকি দুই পারসেন্ট শিক্ষার্থীর মন্ত্রী?’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিফাত রশিদ বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আজকে কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের অবহেলা করা হচ্ছে। এই ছাত্রসমাজ কোনো দাবি আদায়ে যতবারই রাস্তায় নেমেছে, সেই দাবি আদায় করে রাজপথ ছেড়েছে।

‘আজকেও আমরা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা এই রাজপথ ছাড়বে না। প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে, রাজপথে লাশ পড়বে, তবুও আমরা এই দাবি আদায় করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।’

এ বিভাগের আরো খবর