রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে সহকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
পুলিশপ্রধান শনিবার গভীর রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণসহ সবকিছু শুনে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউএনবির খবরে বলা হয়, রাত ১১টার পর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও কাওসার আলীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপরই কনস্টেবল মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন কাউসার। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখও আহত হন।
ইউএনবি আরও জানায়, ঘটনার পরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বন্ধ করে দেয়া হয় ওই সড়কে যান চলাচল। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করা হয়। ছুটে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আইজিপিসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, “মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় কাউসার। মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে আছে জানতে চাইলে কাউসার জানান, তিনি ‘নাটক’ করছেন।”
এরপর কাউসার দূতাবাসের ফটকের উল্টো পাশের সড়কে চলে যান। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা পাঁচ থেকে ছয়টি গুলির শব্দ শুনেছেন।
আহত চালক সাজ্জাদ শেখকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।