বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাবনা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ৮ জুন, ২০২৪ ১৮:৩৫

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়, স্থানীয় ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন সুজানগরে যাই ঘটুক শাহিনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে।’

সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাবনার সুজানগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আব্দুল ওহাব গ্রুপের কাদুয়া গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী তাজু প্রামাণিক, ৫০ বছর বয়সী আলাউদ্দিন প্রামাণিক, আলাউদ্দিনের স্ত্রী ৪০ বছর বয়সী হেলেনা খাতুন ও ছেলে ২১ বছর বয়সী আশিকুর রহমান শুভ, ৩৪ বছর বয়সী মাসুম শেখ, ৩০ বছর বয়সী শরিফুল ইসলাম, ৩০ বছর বয়সী সাদ্দাম হোসেন ও ৩৫ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন।

অপরদিকে, শাহীনুজ্জামান শাহীনের গ্রুপের আহতরা হলেন- একই এলাকার ৩৫ বছর বয়সী সলিম প্রামাণিক ও ৪০ বছর বয়সী ইসিম প্রামাণিক, ৩৮ বছর বয়সী সুমন প্রামাণিক, ৬৩ বছর বয়সী মনির উদ্দিন প্রামাণিক এবং ৪০ বছর বয়সী উজ্জল কাজী।

পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাদুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে আছে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজনদের। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে কাদুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়, স্থানীয় ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন সুজানগরে যাই ঘটুক শাহিনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে।’

তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই আমার লোকজনদের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার হামলা হয়েছে। গতকালও মানিকহাটে আমার এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার লোকজন। সে এখন রাজশাহীতে ভর্তি। আমি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই।’

এ বিষয়ে সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর