ঐতিহাসিক ছয় দফাকে স্বাধীনতার পথে সংগ্রামের ঐতিহাসিক মাইলফলক আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ছয় দফা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আখ্যা দেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ছয়-দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলি চালায়। এতে ১১ জন শহীদ হন। প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে মুক্তিকামী জনতা। বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন পায় নতুন মাত্রা।
কাদের বলেন, ‘এককথায় আমি বলতে পারি, ছয় দফা হচ্ছে স্বাধীনতার পথে স্বাধিকার, সংগ্রামের ঐতিহাসিক মাইলফলক। এ কথা আজ স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলন শুরু করে এ দেশের ছাত্রসমাজ এবং আমরা এটাই সত্য পঁয়ষট্টিতে পাক-ভারত যুদ্ধ, এই যুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব বাংলা, এই পূর্ব বাংলার কোনো নিরাপত্তা ছিল না। পূর্ব বাংলাকে রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না এবং সে কারণে ছয় দফার প্রয়োজনটা বেশি করে অনুভূত হয়।
‘সত্য কথা বলতে কী, ছয় দফা যদি না হতো, তাহলে ঊনসত্তরে ছয় দফাভিত্তিক ১১ দফা গণবিস্ফোরণ, বাংলাদেশে যে গণঅভ্যুত্থান, গণঅবস্থান, এ গণঅভ্যুত্থান হতো কি না, সেটাই হলো বড় কথা এবং আজকে (ছয় দফা) আমাদের ইতিহাসে বাক পরিবর্তনকারী। ইট ওয়াজ এ টার্নিং পয়েন্ট ইন আওয়ার হিস্ট্রি (এটি ছিল আমাদের ইতিহাসে বাক বদলকারী)।’