লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবা থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার কান্তেশ্বর পাড়ার একটি ডোবা থেকে বৃহস্পতিবার তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাণ হারানো ফাহিম ফরহাদ (১৬) উপজেলার আরাজি দেওডোবা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে এবং একই এলাকার ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মে মঙ্গলবার থেকে ফরহাদ নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর ফরহাদের পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাইকে করে আটক ওই কিশোরকে ফরহাদ নিজ এলাকা দেওডোবা থেকে মধুর বাড়ির এলাকা অর্থাৎ রূহানীনগর পৌঁছে দিতে যায়। ওই সময় তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই কিশোর একটি ধারালো দা দিয়ে ফরহাদকে কোপ দেয়।
পরে তার রক্তাক্ত মরদেহ বস্তাবন্দি করে প্রথমে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সেই বস্তা ডোবায় নিয়ে এসে ফেলে দেয়।
ফরহাদ নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের পর আদিতমারী থানা পুলিশ ওই কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ কিশোরের বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার ডোবা থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফরহাদের পরিবারের অভিযোগ, ফরহাদ ওই কিশোরের কাছে পুরাতন বাইক কেনে। সেই বাইকের লেনদেনের জের ধরেই ফরহাদকে হত্যা করে সে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার এসআই ফারুক হোসেন বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তার করে আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি, বাকি আইনি প্রক্রিয়া সিনিয়র কর্মকর্তারা সম্পন্ন করছেন।’