কক্সবাজারে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ সদরে ফেরার পথে নির্বাচনি কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম বহনকারী একটি ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকের এ ঘটনায় এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারে গুলি লেগেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৯ মে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। বুধবার এই কেন্দ্রের ভোট হয়।
ইউএনও বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে নাইক্ষংদিয়া নামক এলাকায় নির্বাচনি কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ইভিএমের সরঞ্জাম ভর্তি সার্ভিস ট্রলার লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। কেউ হতাহত হননি। ট্রলারে কয়েকটি গুলি লেগেছে।
তিনি বলেন, কারা গুলি ছুড়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যের একটি টিমও ছিল। সবাই নিরাপদে সুস্থভাবে টেকনাফ পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
এ বিষয়ে ট্রলারে থাকা টেকনাফ নির্বাচন অফিসের ইভিএমের কারিগরি দায়িত্বে থাকা নাজিম উদ্দিন বলেছেন, ‘মরতে মরতে আল্লাহ পাকের দয়ায় প্রাণে বেঁচে গেছি।’
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন থেকে নির্বাচন শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাফ নদের মোহনায় পৌঁছালে সীমান্তের ওপার থেকে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে আমরা সবাই ভয়ে নিচের দিকে বসে পড়ি। এরপর আমাদের বহনকারী ট্রলারটি দ্রুতগতিতে চালিয়ে কূলে আসায় আমরা সবাই প্রাণে রক্ষা পাই। এ সময় আমাদের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তারা ছিলেন।’
টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের একটি ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষ করে টেকনাফ ফেরার পথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বহনকারী কোস্ট গার্ডের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। তবে কারা গুলি বর্ষণ করেছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখার চেষ্টা চলমান।’