বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ জুন, ২০২৪ ২৩:৪২

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কিছু লোক দালালের মাধ্যমে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়। দেশের এক শ্রেণীর লোক যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছে। এর ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে যে সমস্যা হয়েছে আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। কেউ দায়ী হলে তাদের অবশ্যই বিচার হবে।’

বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সূত্র: বাসস

এর আগে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।

সম্পূরক প্রশ্নে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়াতে লোক পাঠানোর ব্যর্থতা কার সে প্রশ্ন তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কিছু লোক দালালের মাধ্যমে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়। এতে সমস্যা তৈরি হয়।

‘মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছিল। বিশেষ ফ্লাইট অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সবাইকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়ে গেছে। বাদ পড়ার কারণ কী সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা আলোচনা করে ঠিক করি যে কত লোক যাবে, কী যাবে; তখনই দেখা যায় আমাদের দেশের এক শ্রেণীর লোক যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছে। যার ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

‘সরকার যখনই আলোচনা করে সমাধানে যায়, তখনই কিছু লোক ছুটে যায়। তারা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এটা শুধু মালয়েশিয়া না, অনেক জায়গায়ই ঘটে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বার বারই দেশবাসীকে বলেছি যে জমিজমা ও ঘরবাড়ি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে। প্রয়োজনবোধে বিনা জামানতে ঋণ দেয়া হয়। সেখানে তাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে, সে যে যাচ্ছে তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কিনা। এটা হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।

‘তারপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, কে আগে যাবে সেই দৌড় দিতে গিয়ে বাড়ি-ঘর সব বিক্রি করে, তারপর পথে বসে। অথবা সেখানে যদি চলেও যায় বিপদে পড়ে। মানুষকে বলেছি এভাবে না যেতে। সোজাসুজি নিয়ম মানলে এ বিপদের সৃষ্টি হয় না।’

তিনি বলেন, ‘তবে এবার যে সমস্যা হচ্ছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ফেনী-১ আসনের সরকার দলীয় সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে বলেন, ‘ফেনী থেকে বিএনপির নেতা খালেদা জিয়া বার বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফেনী যেহেতু খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকা, এখানে বৈরী পরিবেশ সবসময় ছিল। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বঙ্গবন্ধু অথবা তার পরিবারের নামে কোনো স্থাপনা হবে এটা কখনও তারা চায়নি।

‘ফেনীতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া প্রকল্প ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ করে দেয়া হয়। নিজের এলাকার উন্নয়নে খালেদা জিয়া তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বরং আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন ফেনীর যথাযথ উন্নয়ন হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত্রতত্র যেখানে সেখানে বঙ্গবন্ধু বা আমার পরিবারের নামে যাতে কোনো কিছু না হয় তা নিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত আছে। কোনো কিছু করতে গেলে ট্রাস্টের অনুমতি নিতে হয়। কাজেই ফেনীতে বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হবে কিনা তা যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

“নিরাপদ সাইবার স্পেস ও সাইবার অপরাধ দমনে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি আলাদা ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।” সংরক্ষিত আসনের সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিশেষ চক্র, বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক চক্র, যুদ্ধাপরাধী চক্র ও বিএনপি-জামায়াত ক্রমাগতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। এদের একটি বড় অংশ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। তারা মূলত ফেসবুক, এক্স (প্রাক্তন টুইটার), ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিকৃত খবর প্রচার করছে।’

গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও গুজব প্রতিরোধে ২৪/৭ সাইবার পেট্রলিং জোরদার করা হয়েছে।

‘গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রাখা হয়েছে। গুজব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এবং সাইবার সাপোর্ট হেল্প লাইনের মাধ্যমে গুজব সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বিদেশে অবস্থানরত গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

সরকার দলীয় সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ২৭৫টি চালু রয়েছে। আর ৯৮টির নির্মাণ কাজ চলমান।’

হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্মুক্ত জলাশয় স্থায়ী সংরক্ষণ ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হাওর অঞ্চলে মৎস্য ও জলজ অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হবে। এসব অভয়ারণ্যে মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর