উপজেলা নির্বাচন সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ এবং সন্তোষজনক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ধাপে ভোটার উপস্থিতি ৩৪ শতাংশের বেশি ছিল।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমনটা দাবি করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ হবে এমন আশঙ্কা করলেও বাস্তবে তেমনটা হয়নি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। কোনো হতাহতের খবর পাইনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
অসংখ্য আজিজ ও বেনজীর আওয়ামী লীগে আছে- বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শামসুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কহিনুর কার সৃষ্টি? আটজনকে ডিঙিয়ে মঈন ইউ আহমেদকে সেনাপ্রধান কে করেছে? মির্জা ফখরুল সাহেবের এতোটুকু লজ্জা করে না! নিজেরা যা করেছে তা এখন আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
‘দুদক স্বাধীন। মন্ত্রীরাও কোনো দুর্নীতি করলে দুদক তদন্ত ও মামলা করতে পারে।’
কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলেন যে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন। কে আন্দোলন করবে? দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিএনপি? দুর্নীতিবাজ দল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে এটা বছরের সেরা জোক (কৌতুক)।’
ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মামলায় তার বিচার চলছে। দেশে আইন আছে। আইন অনুযায়ী ড. ইউনূস বিচার পাবেন। আইনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। মামলায় তার প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। তার যে প্রাপ্য, সুষ্ঠু বিচার হবে। তাকে কোনোভাবে অপমান করার দুরভিসন্ধি আমাদের নেই।’
ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ভারত সরকারের সঙ্গে, কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।