বাগেরহাটের মোংলা পৌর শহর থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে চিংড়ি ঘেরে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ৭ জনকে আসামি করে মোংলা থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার তরুণীর এক আত্বীয়।
মামলা সুত্রে পুলিশ জানায়, মোংলা পৌরশহরের মিয়াপাড়া এলাকায় ভাড়াবাড়িতে সববাস করেন ওই তরুণী। ১০/১২ দিন আগে ২২ বছর বয়সী এই মেয়ের সঙ্গে উপজেলার বাঁশতলা এলাকার বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী রুমান ফকির নামের এক যুবকের পরিচয় হয়।
গত ৩ জুন আসামিরা ভূক্তভোগীকে মোংলা কলেজের সামনে দেখা করতে বলেন। এরপর ওই তরুণী সন্ধ্যার সময় সেখানে পৌঁছালে অভিযুক্ত রুমান ও রাসেল তাকে জোর করে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে আসামি রানা শেখের মাছের ঘেরে নিয়ে যান। সেখানে তার হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে সংঘধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা রাত ১টার দিকে তাকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় চাদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের কাছে ফেলে চলে যান।
পরে এক মোটরগাড়ির চালক ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগীর এক আত্মীয়া মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি ৭ জনকে আসামি করেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার উত্তর বাঁশতলা ইউনিয়নের ২৫ বছর বয়সী রুমান ফকির, চিলা ইউনিয়নের ২২ বছর বয়সী রাসেল শেখ, বাঁশতলা ইউনিয়নের ২৪ বছর বয়সী রানা শেখ, একই এলাকার ২৯ বছর বয়সী সুমন খান, ৩৬ বছর বয়সী মিজানুর মোসল্লী, ৪৫ বছর বয়সী মো. জামাল ও ৩৫ বছর বয়সী মো. আওয়াল।
মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘চিংড়ি ঘেরে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ৭ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা ও সকল আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’