টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বস্তার মধ্যে পাওয়া এক শিশুর মাথার খুলি ও মরদেহের পচে যাওয়া কিছু মাংসের টুকরো এবং খন্ড খন্ড হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সোমবার (৩ জুন) রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা করেন নিখোঁজ শিশু নওশীন ইসলাম শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া।
শর্মিলার ফুপা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর দেহের পচে যাওয়া কিছু মাংসের টুকরোসহ খণ্ড খণ্ডে হাড় উদ্ধার হয়। বস্তায় শর্মিলার পরনের কাপড়ও দেখা যায়। আমরা ধারণা করছি, এটিই শর্মিলার মরদেহ। তাই তার বাবা সুমন ওইদিন রাতেই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও হাতে পাইনি। এটি পেলে শর্মিলার মরদেহ কি না তা শনাক্ত করা যাবে। তবে, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুটির পরণের কাপড় দেখে পরিবার ধারণা করছে, এটিই হয়তো তাদের শর্মিলা। দ্রুত জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে, সোমবার উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকার একটি ধান ক্ষেতে একটি বস্তা পড়ে ছিল। সেই বস্তাটি কিছু কুকুর দল বেঁধে টানাটানি করছিল। এমন সময় বস্তা থেকে বেরিয়ে আসে মানবদেহের পচে যাওয়া টুকরো টুকরো কিছু মাংস এবং হাড়ের খণ্ড খণ্ড অংশ। এতে নিখোঁজ শর্মিলার পরণের কাপড়ও দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দেখতে পায়, বস্তায় রয়েছে একটি শিশুর মরদেহ।
সেসময় স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাংসের টুকরোগুলো। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল চারদিকে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
তার আগে, গত ২৬ মে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় নওশীন ইসলাম শর্মিলা। সে গোবিন্দাসী তানিয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও নূরানী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।