বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানিকগঞ্জে নানা অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম

  •    
  • ৫ জুন, ২০২৪ ১২:৪৪

সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং আগের চেয়ে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে দিন দিন বাড়ছে অপহরণ, ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক সদস্যের জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ অপরাধীদের আইনের আওয়ায় আনা হলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ক্ষুন্ন হচ্ছে ভাবমূর্তি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত পহেলা জুন সকালে সিংগাইর উপজেলার জামসা এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন হালদারসহ তিনজনকে অপহরণ করে প্রায় ৯৫ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় র‌্যাব-১ এর সদস্য শামীমুজ্জামানসহ পাঁচজনকে আটক করেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুনম হালদার বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করেন। কিন্তু র‌্যাব সদস্য শামীমুজ্জামানকে বাদ দিয়ে মামলার বাকি চারজন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়ারুল ইসলাম জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে র‌্যাব সদস্য শামীমুজ্জামানকে র‌্যাবের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার বাকি চার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে চলিত বছরের গত ২৬ মে সন্ধ্যায় এক ব্যক্তির পাওনা টাকা আদায়ের জন্য গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে পাঁচজন সিংগাইর উপজেলার বাঘুলি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অদূরের ইসমাইলের বাড়িতে যান। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদদ্যের পরিচয়ে হুমকি-ধমকি দিলে এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে আটক পাঁচজনকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় পর মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন সিংগাইর থানার ওসি।

এ ছাড়া চলিত বছরের ১৫ জানুয়ারি সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের শান্তিপুর বাজারের একটি কম্পিউটার দোকানের সামনে থেকে রাত সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘোরাফেরা করার সময় পাঁচজনকে আটক করে শান্তিুপুর-বাঘুলি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ডিএমপির মোটরযান শাখার মোবারক নামের এক পুলিশ সদস্যও ছিলেন। আটকের পর পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র ও হাতকড়া উদ্ধার করা হয়। তবে এঘটনায় শুধু আরিফুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে এবং বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ছাড়াও ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ পরিচয়ে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বাঘুলি উত্তরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে উজ্জল সাহা নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে প্রায় ৯৮ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটনার দিন রাতে টাঙ্গাইল থেকে উজ্জল সাহাকে উদ্ধার করা হয়। মামলার পর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, র‌্যাব সদস্য, পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ের অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা সিংগাইরবাসাী খুব আতঙ্কে আছি। কারণ আইনশৃঙ্খলাবানীর সদস্য পরিচয় দেয় তারা। আমাদের তো ভয় আছে, ভয়ের কারণে অনেক সময় চুপচাপ থাকি। এ ছাড়া যতগুলো ঘটনা ঘটেছে,তাতে তো সত্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও ছিল। এখন আমরা আছি খুব বিপদে, কোনটা সত্য আর কোনটা ভুয়া।

এ বিষয়ে সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং আগের চেয়ে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর