কুমিল্লার চান্দিনায় একাধিক মামলার আসামি আলোচিত যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর দাবি, তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তার স্বামী তানভীরকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া গনিপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সহসভাপতি।
চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামের আক্কাস আলির বাড়িতে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়াকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে গড়ামারা গ্রামের গিয়ে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে সেই এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, তারপরও এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই জানে না বলে জানায়।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জানান, রাত দুইটার দিকে তানভীর তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার স্বামীর সঙ্গে মারধরের এক পর্যায় তানভীর অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত তানভীরের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই মহিলা যা বলছেন তা মোটেও সত্য না।’
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমিও ঘটনাস্থলে গিয়েছি, হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলটি এতই ঘনবসতিপূর্ণ যে, ওই বাড়িতে কোনো উঠান নেই। বাড়ির বা পাশাপাশি মানুষ ঘটনাটি জানবে না সেটা হতে পারে না। স্থানীয় কোনো মানুষ মুখ খুলছে না।’
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন দত্ত জানান, তানভীরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ে কাটা চিহ্ন আছে, তবে কী কারণে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান এসআই।