প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ অফিসার টাকা চেয়েছেন, এমন অভিযোগসহ সময়ের পর এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ায় অভিযোগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সব প্রার্থীর এজেন্ট বের হয়ে গেছেন কেন্দ্র থেকে।
এতে এজেন্ট শূন্য কেন্দ্রে ভোটারও আসতে দেখা যায়নি। কোনো বুথে দেড় ঘণ্টায় পড়েছে দুই ভোট, কোনো বুথে পড়েছে পাঁচ ভোট।
নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সরোয়ার আলম বলেন, ‘তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই হাজার ৩৬০ ভোট। কেন্দ্রের ভোট কক্ষ পাঁচটি। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ৮টা ৩৫ এ আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু ইউসুফ ভূইয়ার এক এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে আসেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসায় আমি ঢুকতে দেইনি।
‘তাই তারা সকল প্রার্থীর সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে নিয়ে গেছে। তারা ভোটার আসতে দিচ্ছে না। এখন কেন্দ্রে তেমন এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কেউ নেই।’
এদিকে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক বলেন, ‘পুলিশ ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমাদের কাছে খরচ চেয়েছিল। আমরা না দেয়ায় যেসব এজেন্ট দেরিতে এসেছে তাদের ঢুকতে দেয়নি। তাই আমরা সকল প্রার্থীর সমর্থকরা মিলে এই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করছি।’
একই দাবি করেছেন আনারস প্রতীকের কেন্দ্রের প্রধান এজেন্ট আবু সুফিয়ান জুলিয়াস ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট সাইফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘এটি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিষয়।’