বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাত পোহালেই চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ জুন, ২০২৪ ২৩:৩২

পাঁচ হাজার ১৪৪টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ছয়টি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই ধাপের ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভোটার।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভোটার।

ইতোমধ্যে ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। প্রচারের শেষ দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচারে সক্রিয় ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ছুটেছেন প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে। দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি।

এছাড়া সোমবার (৩ জুন) রাত ১২টা থেকে ৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকাগুলোতে ট্যাক্সি, ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরও তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে চতুর্থ ধাপে ৬৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও মৃত্যু/মামলাজনিত কারণে ৬ উপজেলায় ভোট স্থগিত করে ইসি। ফলে এই ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এসব উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে উচ্চ পর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। এই সেলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়েছে।

এই ধাপে সারাদেশে ৬০টি উপজেলায় মধ্যে ছয়টিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিবেচনায় ১৯৭ কেন্দ্রে মঙ্গলবারই ব্যালট পাঠানো হয়েছে। বাকি চার হাজার ৯৪৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছবে বুধবার সকালে। সব মিলিয়ে এ দফায় ভোট কেন্দ্র থাকবে পাঁচ হাজার ১৪৪টি।

নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ১৯ জনের ফোর্স। আর দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় এই সংখ্যা আরও বেশি। এছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে থাকবেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসি সূত্র জানায়, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। সোমবা থেকে প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচদিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

ইসি সূত্র আরও জানায়, ২৪ এপ্রিল চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ১৯ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় ৭২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন। ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।

ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এবার চার ধাপে উপজেলার ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলার ভোট গ্রহণ হয় ২১ মে। তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট হচ্ছে বুধবার। আইনি জটিলতার কারণে কিছু উপজেলার ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর