ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে জন্ম নিয়েছে দুই যমজ (মেয়ে)। এই দুই নবজাতকের মধ্যে একটি শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। অজ্ঞাত কেউ
মঙ্গলবার দুপুর ১২ থেকে ১টার মধ্যে কৌশলে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়।
নবজাতক কন্যার দাদি হাসিনা বেগম বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টার দিকে আমার যমজ নাতনীর জন্ম হয়। চিকিৎসক দুই নাতনীসহ আমাদেরকে হাসপাতালের বারান্দায় বসতে বলেন। চিকিৎসকের কথামতো আমরা বারান্দায় বসে ছিলাম। পরে আমার ছেলে শহিদুলের সঙ্গে এক মহিলা এসে এক নাতনীকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই মহিলাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
‘আমার ছেলে দুই বিয়ে করেছে। ওর আগের ঘরে এক ছেলে আছে। আর এই ঘরে দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আর এখন একটা কন্যাকে চোরা মহিলা নিয়ে গেল।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে অন্তঃসত্ত্বা নারী সুখী হাসপাতালের ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে দুই নবজাতক কন্যা শিশুকে দাদী ও তার বাবার কাছে দিয়ে বারান্দায় বসতে বলা হয়। তখন তার স্বামীর পরিচিত এক নারী কৌশলে এক নবজাতক কন্যাকে নিয়ে যায়।
‘নবজাতকের বাবা শহিদুল ইসলাম খাতায় সিগনেচার দিয়ে এবং ওই মহিলাকে আত্মীয় বলে তার কাছে নবজাতক কন্যাকে তুলে দেন। এখন বলছেন যে তিনি ওই মহিলাকে চেনেন না। হাসপাতালের প্রতিটি গেট ও ওয়ার্ডের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। শাহবাগ থানাকে জানানো হয়েছে। তারাও খোঁজখবর নিচ্ছে।’
নবজাতকের বাবার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে। ট্রাকের হেলপার শরিফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী সুখী বেগম। বর্তমানে ধামরাইয়ের কালামপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি।