চা গবেষণার ওপর জোর দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফ্লেভারের চা বাজারজাত করার তাগিদ দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার জাতীয় চা দিবস ও জাতীয় চা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের রুচি বদলে গেছে। বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভারের চায়ের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে হার্বাল টি, মশলা টি, তুলসী পাতার চা, জেসমিন টি, এগুলো চলে। শুধু চা পাতা বিক্রি না করে, ভ্যালু অ্যাড করেন। তাহলে ভালো দাম পাবেন।
‘পাট পাতা থেকেও চা তৈরি হয়। এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। খামারিরা বলছেন, এটি নাকি ডায়াবেটিকসের জন্য ভালো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চা অর্থকরী ফসল হচ্ছে। এ নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে ও গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চা শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান হলে তাদের থেকে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ নানান বিষয় দেখবেন।
‘চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা। তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই, আপন ভূমি নেই। আমরা তাদের সেই মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দেব। কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘নিজস্ব উৎপাদনে যেন চাহিদা পূরণ করতে পারি, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্য চায়েরও উৎপাদন বেড়েছে। উভয়ের সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের চলতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চা আমার খুব প্রিয়। আমি চা পান করি কারণ জাতির পিতা চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর বিশেষ করে, চা শ্রমিকরা নৌকায় ভোট দেয়। অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের অন্য দিকে নিতে পারে নাই। তাদের (শ্রমিক) ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে চায়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণ, যত্ন করা, কীভাবে আরও চা উৎপাদন বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
‘এ ছাড়া চা বোর্ড, ক্ষুদ্র চাষিদের প্রযুক্তি সহায়তা, প্রণোদনা, সবদিক থেকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের পাশাপাশি লালমনিরহাটেও চা বোর্ডের স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পঞ্চগড়ের আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরী ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।’