বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা: ফখরুল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ জুন, ২০২৪ ২১:৪৬

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার গত ১৫ বছরে দানবের মতো দেশ শাসন করে শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা কী? কোনো বাড়িতেই শান্তি নেই। মানুষ এখন বাচ্চার জন্য দুধ-ডিমও কিনতে পারে না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘গ্যাস, বিদ্যুৎ, শাকসবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বেড়েছে যে প্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করাটাও এখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) গত ১৫ বছরে দানবের মতো দেশ শাসন করে শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা কী? কোনো বাড়িতেই শান্তি নেই।

‘মানুষ এখন বাচ্চার জন্য দুধ ও ডিম কিনতে পারে না। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা। একটি লাউ ১২০ টাকা। অবিশ্বাস্য অবস্থা।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণার উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে এখানে সয়াবিন তেল বা পাম তেলের দাম অনেক বেশি।

‘নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তারা গরুর মাংস কিনতে পারছে না, ইলিশ মাছ তো দূরের কথা, এমনকি দাম বেশি হওয়ায় তারা ভালো মানের সবজিও কিনতে পারছে না।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি এবং এক কঠিন সময় পার করছি। পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে ১৫ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’

দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির মহিলা শাখার নেতাকর্মীদের সোচ্চার হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সময় এসেছে নিজেদের সংগঠিত করার। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং নির্যাতন ও কারাবাসের শিকার হচ্ছি। আমাদের মা-বোনেরা বার বার জেলে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হলে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নিজেদের মধ্যে যে ছোটখাটো ভুল ও ভুল বোঝাবুঝি আছে তা দূর করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে তিনটি প্রহসনমূলক জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীনরা দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে ৬৪ দলের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগ- এসব ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর