তুমুল জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের অগ্রসৈনিক শফী আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নিজ বাসভবনে সর্বদলীয় ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ সারির এ নেতা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শফী আহমেদের স্ত্রী তাহেরা খন্দকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফী আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন, এরপর আওয়ামী লীগে যোগ দেন। শফী আহমেদ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। পরে দলটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হন।
২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন শফী আহমেদ। এরপর গত চারটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি তিনি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন শফী আহমেদ। তবে তার মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়ে যায়।