মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ফরিদপুরের আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৪০ বছর বয়সী ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান মধুখালী রেলগেটের পশ্চিম পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় স’ মিল মিস্ত্রি মো. মজিবর মোল্লা আহত হন। সেসময় মোটরসাইকেল আরোহী শেখ আজম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। তিনি সেসময় ঝিনাইদহ জেলার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মধুখালী থানার মাদক আইনে মামলা করে।
তিনি আরও জানান, আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসা করতেন।
২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার এ রায় ঘোষণা করে।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী এবং মামলার অপর আসামি নুর আলমকে মুক্তি দিয়েছে আদালত।