বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে পানি ঢুকে চরম দুর্ভোগ

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ৩ জুন, ২০২৪ ১৭:৩৪

প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় হাসপাতালের নিচতলার বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যায়। এতে ২৬, ২৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দুই শতাধিক রোগীকে স্থানান্তর করতে হয়। আর কলেজে পানি প্রবেশ করায় তিনটি ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

অতিবৃষ্টিতে সোমবার ভোরের দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিচতলা তলিয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা। ব্যাহত হয় সেবা কার্যক্রম।

এদিকে ওসমানী মেডিক‍্যাল কলেজেরও নিচতলায়ও ঢুকে পড়ে পানি। ফলে কলেজের সোমবারের সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।

রোববার মধ্যরাত থেকে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ভোরের দিকে ওসমানী হাসপাতাল ও কলেজের নিচতলায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। পানি ঢুকে পড়ায় সকালে ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই শতাধিক রোগীকে স্থানান্তর করা হয়।

এছাড়া বন্ধ হয়ে পড়ে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা কার্যক্রম। ফলে বিঘ্নিত হয় চিকিৎসা সেবা। সকালে হাসপাতাল চত্বরের কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বা কোমর সমান পানি জমে যায়। কর্মকর্তাদের কক্ষেও পানি ঢুকে পড়ে।

তবে বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখার সময় হাসপাতাল চত্বর থেকে পানি নেমে গেছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সেবা কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হাসপাতালের নিচতলা ও রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে ভোর থেকে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে ঘুমন্ত রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফ্লোর, বারান্দা ও প্রবেশপথ তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তাই কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে এখানকার রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে।

এছাড়া রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রসহ প্যাথলজি বিভাগে পানি প্রবেশ করায় এর কার্যক্রম সকালে বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। তিনি জানান, বানের পানি প্রবেশ করায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা সময় ব্যাহত হয়। দুই শতাধিক রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া রক্ত সঞ্চালন বিভাগ এবং প্যাথলজি বিভাগে পানি প্রবেশ করায় এখানকার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পানি নামার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা দ্রুত স্বাভাবিক করে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া জানান, প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় হাসপাতালের নিচতলার বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যায়। এতে ২৬, ২৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

আর কলেজে পানির কারণে তিনটি ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হুসাইন জানান, রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার দুপুর ১২টার তথ্যমতে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি রোববার কমলেও সোমবার বেড়েছে। সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীর উপচে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। শহরের পাশাপাশি সোমবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়ও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার অনেক উপজেলায় পানি কমে বিভিন্ন সড়কে যোগাযোগ শুরু হলেও সোমবার সকাল থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর