বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ জুন, ২০২৪ ২৩:২৯

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২৬ মে সন্ধ্যায় আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। সরকারি হিসাবে ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে, ঘর ভেঙে ও দেয়াল ধসে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে দেশের ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়ে জনপদের পাশাপাশি পায়রা নদীর ড্রেজিং ও উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২৬ মে সন্ধ্যায় আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। সরকারি হিসাবে ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে, ঘর ভেঙে ও দেয়াল ধসে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়ের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে উপকূলের বহু জনপদ তলিয়ে যায়। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসাবে বেরিয়ে এসেছে। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি। মন্ত্রণালয়গুলো থেকে আগামী ৯ জুনের মধ্যে সব হিসাব পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

‘আমরা গত কয়েক দিন থেকেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।’

ঘূর্ণিঝড়ে পায়রা বন্দরের পাশে পায়রা নদীর চলমান ড্রেজিং কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আশপাশ থেকে পলি এসে নদীর ড্রেজিং কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একইভাবে অনেক দিনের পুরোনো বেড়িবাঁধগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আধুনিক বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করা হবে।

সরকারের ত্রাণ তৎপরতার তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ হিসেবে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিদুর্গত এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিরতণ করেন।

দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্তের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায়ও ত্রাণ বিতরণ করার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

এদিকেগত কয়েক দিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা, ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এ বিভাগের আরো খবর