মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীতে পড়ে লিপি আক্তার নামে এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালিয়েও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ধলাইরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ লিপি আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিপি আক্তার জন্মগতভাবে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। শনিবার দুপুর ১টার দিকে ধলাই নদীর পাড় ধরে তিনি হাঁটছিলেন। এ সময় হঠাৎ পা পিছলে তিনি নদীতে পড়ে ডুবে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসের অফিসে এসে সাহায্য চায়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সিলেট থেকে নিয়ে আসা একজন ডুবুরির মাধ্যমে নদীতে ১০ মিনিট তল্লাশি চালালেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন চলে যান।
লিপি আক্তারের ভাই জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা পাশের বাড়ির একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনি আমাদের বোন নদীতে পড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম। কিন্তু পাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা রমজান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ডুবুরি আসল নামমাত্র। এই আসার কোনো মানে হয় না। ডুবুরি নদীর পাড় থেকে একটু জায়গায় নেমে আবার উঠে চলে গেলেন।’
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে ধলাইর পাড় গ্রাম থেকে কয়েকজন আসেন। পরে ফোন করে সিলেট থেকে একজন ডুবুরি এনে ধলাই নদীতে নেমে অনেক খোঁজাখুজিঁর পরও মরদেহ পাওয়া না যাওয়ায় তারা চলে আসে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি তিনি ৩০-৪০ মিনিট নদীতে নেমে কাজ করেছেন। তবে আমি সেখানে ছিলাম না। মাত্র ১০ মিনিট তল্লাশির অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এখনই জানাব।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধারে কাজ করছে।’