বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ জুন, ২০২৪ ১৯:৪২

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারে অজুহাত তৈরির সুযোগ দেয়াটা হবে অনুচিত।’

বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে দেশের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য অংশীদারদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি, মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ৬ উন্নয়ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে পৃথক চার বৈঠকে এই আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদের মমতা দিয়ে গ্রহণ করেছিল।

‘কিন্তু ক্রমেই রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে। আর ক্যাম্পগুলো মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হওয়াসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠপ্রায়।’

আরেকটি বৈঠকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও দেশটির সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্য বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বেশিরভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদেরও ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারে বিবদমান গোষ্ঠীর ছোঁড়া শেল বাংলাদেশে এসে পড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তি রোধ একান্ত প্রয়োজন।’

মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারে অজুহাত তৈরির সুযোগ দেয়াটা হবে অনুচিত।

এ বিভাগের আরো খবর