বাউল সম্রাট মহাত্মা লালন ফকিরের স্মরণে ও ফরিদপুরের আদিভাব লালন চর্চা কেন্দ্রের একাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব-২০২৪ শেষ হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ টেপাখোলা আদিভাব লালন চর্চা কেন্দ্রের আখড়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে শতাধিক লালন সংগীতশিল্পী অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার রাতে লালন সাঁইজীর স্মরণে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে উৎসব শুরু হয়। এরপর আত্মদর্শন ও মানবপ্রেম সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাতভর ফকির লালনের ভাববাণী পরিবেশন করেন বিশিষ্ট বাউল শিল্পীরা।
আদিভাব লালন চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাউল রূপক সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের উদ্বোধন করেন লালন চর্চাকেন্দ্রটির প্রধান উপদেষ্টা ও পৌর কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন ফয়সাল।
আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সংস্কৃতি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল হাসান মিলন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ফরিদপুরের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ-ই কবীর খোকন, নারীনেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা, ফরিদপুর লালন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পাগলা বাবলু খান ও আদিভাব লালন চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বাউল নারায়ণ মণ্ডল।
দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে লালন সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত লালন সংগীতশিল্পী পাগলা বাবলু খান, বিশিষ্ট সাধক ফকির নিজাম উদ্দিন সাঁই ডলার, বাউল মোহিনী সরকার, বাউল অনিমা বারুই, বাউল অমিয়, বাউল ফকির ইমান খান, বাউল বিভূতিভূষণ সরকার, বাউল নারায়ণ মণ্ডল, বাউল জয়চাঁদ সাধু, বাউল রাজু ফকির, বাউল সেকেন্দার, আবুল খায়ের বাউল, বাউল সমীর সাহা, বাউল নিরোদ রায়, বাউল সুভাষ বিশ্বাস, বাউল বাদশা, ফকির জাহাঙ্গীর সাধু, শিল্পী শিমু, রিমা সাধকীসহ আরও অনেকে।
শুক্রবার স্মরণোৎসব শেষে বাল্যসেবা ও পুনর্সাধু সেবার আয়োজন করা হয়।