বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানিকগঞ্জ ডিসি অফিসের অফিস সহকারী পদে পরীক্ষা বাতিলের দাবি

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ    
  • ১ জুন, ২০২৪ ১০:৫২

দৌলতপুরের পরীক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘১০ মিনিট দেরির কারণে আমাদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়নি। অথচ আমাদের পরে এসে অনেক পরীক্ষার্থী আমাদের সামনে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে।’

মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও হিসাব সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষার দাবি করেছেন বঞ্চিত প্রার্থীরা।

লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি করে শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন ও প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ৪০ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ প্রশাসনে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (টাইপিস্ট) পদে তিনটি ও হিসাব সহকারী পদে একটি শূন্য পদে শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল, তবে যাতায়াতে সমস্যার কারণে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছান সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে। ওই সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টরা তাদের পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেননি।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। প্রশাসনের কাছে গিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি জেলার ৪০ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষার্থী।

এরপর পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থার জন্য লিখিত অভিযোগ করেন তারা।

ঘিওরের পরীক্ষার্থী মামুন মিয়া বলেন, ‘প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি দায়িত্বরতরা। এরপর পরীক্ষার কেন্দ্রে থাকা পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করি, কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ না শুনে উল্টো খারাপ ব্যবহার করেন।’

দৌলতপুরের পরীক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান জানান, প্রবেশপত্রে সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের কথা উল্লেখ ছিল, কিন্তু রাস্তায় সমস্যার কারণে ১০ মিনিট দেরি করে ৯টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছান।

তিনি বলেন, ‘১০ মিনিট দেরির কারণে আমাদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়নি। অথচ আমাদের পরে এসে অনেক পরীক্ষার্থী আমাদের সামনে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে।’

সিংগাইরের পরীক্ষার্থী মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে এসেও পরীক্ষা দিতে পারলাম না। অথচ আমাদের পরে এসেও অন্যরা পরীক্ষা দিয়েছে। প্রশাসন ও পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের উপযুক্ত ব্যবস্থা এবং পুনরায় পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা-আইসিটি) শুক্লা সরকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তরিকুল ইসলামের মোবাইলে কল দিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর