বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া দেহাংশ এমপি আনারের: ধারণা ডিবির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ মে, ২০২৪ ১৮:৪০

কলকাতা ঘুরে এসে বিমানবন্দরে ডিএমপি ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কলকাতায় তদন্তকালে সুয়ারেজ লাইন ভেঙে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। যদিও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এগুলো ভিকটিমের (এমপি আনার)।’

ভারতের কলকাতা নগরীর উপকণ্ঠে সঞ্জীভা গার্ডেনসে সেপটিক ট্যাঙ্কে যে দেহাংশ পাওয়া গেছে তা সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড তদন্তে কলকাতায় যাওয়া ডিবি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে ফিরেছে। এ সময় ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে এমন ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।

ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘আনোয়ারুল আজীম আনারকে ১৩ মে কলকাতার মাটিতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে। একই ঘটনায় কলকাতায়ও একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।

‘মামলাটির তদন্তের জন্য আমরা কলকাতায় গিয়েছিলাম। আমাদের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা এবং ঘটনাস্থলের এভিডেন্সগুলো দেখতে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।’

হারুন বলেন, ‘এমপি আনারের মরদেহ বা দেহাবশেষ না পাওয়া গেলে মামলাটি নিষ্পত্তি করা যেত না। আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেয়া তথ্য ‘ক্রস এক্সামিন’ করেছি। কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি যে তথ্য দিয়েছে তাও যাচাই-বাছাই করেছি।

‘কলকাতার সিআইডিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি। আমাদের যত ধরনের তথ্যের দরকার, কলকাতায় গিয়ে সবই পেয়েছি। আমরা সফলতা নিয়েই ফিরেছি।’

ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘কলকাতায় তদন্তকালে আমরা সুয়ারেজ লাইন ভাঙতে বলেছিলাম। সেটা ভেঙেই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। যদিও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এগুলো ভিকটিমের (এমপি)। কারণ স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে- অন্য কারও মাংস সেখানে এভাবে ফ্ল্যাশ করবে কেন?’

তিনি বলেন, ‘একজন প্রত্যক্ষদর্শী ওই ফ্ল্যাটে বার বার ফ্লাশ করার আওয়াজ শুনেছেন। সেই তথ্য থেকেই আমরা ওয়াটার থিউরি অ্যাপ্লাই করে মরদেহের খণ্ডিতাংশের সন্ধান পেয়েছি। এটাই আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল। ‌সেটা আমরা‌ উৎরে গেছি।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের হাতে তিন ঘাতক গ্রেপ্তার রয়েছে। তাদের মধ্যে মূল ঘাতক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে আর হত্যাটি সংঘটিত হয়েছে কলকাতায়।’

তিনি বলেন, এই মামলার আসামি একজন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকজন নেপালে রয়েছে। তাদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। শাহীনের জন্য ইন্টারপোলে আর সিয়ামের জন্য নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। কলকাতার পুলিশকেও বলেছি শাহীনকে ফেরানো উদ্যোগ নিতে।

সংসদ সদস্য হত্যার মোটিভ এখনও পরিষ্কার নয় উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যবসায়িক, এলাকার আধিপত্য, রাজনৈতিক, স্বর্ণ ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব- এমন সব বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ১২ মে কলকাতায় যাওয়ার পরদিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার।

ভারতে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন- এমন খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২২ মে সকালের দিকে।

পুলিশ বলছে, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়। খুনের আলামত মুছে ফেলতে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। এরপর সুটকেস ও পলিথিনে ভরে ফেলে দেয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের দেয়া তথ্যে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়া হয়।

ওই তিনজন হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল সংঘটক হিসেবে উল্লেখ করা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।

সঞ্জিভা গার্ডেনস নামের ওই অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাংক থেকে মঙ্গলবার বেশকিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়।

ওই দেহাংশ এমপি আনারের কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিতে এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর