কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ঠ জাফর আলম।
আনারস প্রতীক নিয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লড়া জাফর টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলমকে পরাজিত করেছেন।
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন সরোয়ার আলম। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন মর্জিনা আক্তার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদের সদস্য জাফর আলম আনারস প্রতীক নিয়ে ৫২ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আলম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পান ৩৫ হাজার ৯০১ ভোট।
মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা অপর প্রার্থী জাফর আলমের ছেলে দিদার আলম ভোট পান দুই হাজার ১৩৩টি।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে লড়া সরোয়ার আলম ৩৯ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা রফিক উদ্দিন মাইক প্রতীকে ভোট পান ৩৫ হাজার ১৫৪টি। অপর প্রার্থী আবু ছিদ্দিক চশমা প্রতীকে পান ১৬ হাজার ১৯২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মর্জিনা আক্তার ফুটবল প্রতীকে ৬১ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাহেরা বেগম পদ্মফুল প্রতীকে পান ১৮ হাজার ৩৮৪টি ভোট। অপর প্রার্থী গোলাপজান কলসি মার্কা প্রতীকে ভোট পান ১০ হাজার ৯৪টি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫৯টি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। যদি প্রার্থী চায়, এ ইউনিয়নে নির্বাচন করা হবে।’
আনারস প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়ক ও টেকনাফের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘আজকের এই বিজয় টেকনাফ উপজেলার সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীদের প্রাপ্তি। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতায় তৃতীয়বারের মতো টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাফর আলম। আমাদের এ বিজয় আপনাদের উৎসর্গ করে দিলাম।
‘টেকনাফ উপজেলা ও টেকনাফ পৌরসভাকে একটি মডেল উপজেলা ও পৌরসভা হিসেবে তৈরি করা হবে। সবশেষে আমাদের নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও তাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, ‘টেকনাফে আওয়ামী লীগকে নিধন করার জন্য কিছু আওয়ামী লীগের নেতা মিলে যেভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, ইভিএমের মাধ্যমে তার সমুচিত জবাব দেয়া হয়েছে।
‘টেকনাফ উপজেলার মাটি, সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির ঘাঁটি। আমাদের দীর্ঘদিনের রাজনীতিতে মেধা, শ্রম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন।’