বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আজিজ ও বেনজীরের অপকর্মের দায় সরকারকে নিতে হবে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ মে, ২০২৪ ২২:৪৭

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাবেক পুলিশপ্রধানের দুর্নীতির চিত্র পত্র-পত্রিকায় বেরিয়ে আসছে। স্যাংশন দেয়ার পরও তাকে আইজিপি বানানো হয়েছে। একইভাবে সাবেক সেনাপ্রধানকে স্যাংশন দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি লুট করেছেন, চুরি করেছেন এবং নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই দুজনের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’

গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন জোরদার করতে সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই এ আহ্বান জানান।

বিএনপি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও অঙ্গ-সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জেগে ওঠার সময় এসেছে। জেগে উঠবে সেই তরুণ-যুবক। আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে দেশমাতৃকার ডাকে, আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ও তার ডাকে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের ডাকে।

‘আসুন আমরা সবাই বেরিয়ে পড়ি। আমরা এমন একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলি, যেন যে ভয়াবহ দানব আমাদের সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে তাদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের রাষ্ট্র, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে সক্ষম হই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে তথাকথিত বিনাভোটে ইলেক্টেড এমপি, আমি তাকে এমপিও বলতে চাই না; আমরা যে বাজারে মাংস কিনতে যাই, টুকরা টুকরা করে দেয়, সেই টুকরা টুকরা করে কেটে নাকি ফেলে দিয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাবেক পুলিশপ্রধানের দুর্নীতির চিত্র পত্র-পত্রিকায় বেরিয়ে আসছে। স্যাংশন দেয়ার পরও তাকে আইজিপি বানানো হয়েছে। একইভাবে সাবেক সেনাপ্রধানকে স্যাংশন দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি লুট করেছেন, চুরি করেছেন এবং নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

‘এই দায় কি শুধু ওদের? এই দায় এই সরকারের, যারা আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এই আজিজ ও বেনজীরের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই আওয়ামী লীগকে লাইসেন্স দিলো রাজনীতি করার, আর সেই লাইসেন্স নিয়ে আজকে মেলা মেলা কথা বলছে। তারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করলে বিএনপি আর থাকবে না। কিন্তু বিএনপি আছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাল ধরেছেন; বিএনপি টিকে আছে। এখন তারেক রহমান হাল ধরেছেন। বিএনপি টিকে থাকবে হাজার বছর ইনশাআল্লাহ।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (অব.) মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে। কোথায় সেই ছাত্রদল, কোথায় তরুণরা। আশা করবো আপনারা এখানে যারা ছাত্র আছেন, পুরনো দিনে একাত্তরের কথা স্মরণ করে আপনারা মাঠে নামবেন বিএনপির ডাকে।

‘রাজপথে নেমে আমরা এই লুটেরার দলকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করবো। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক হতাশ- আওয়ামী লীগ বোধহয় টিকেই গেল। ভাইরে, এই চোরদের দল, যেখানে সেনাপ্রধান, পুলিশপ্রধান চোর, দুর্নীতিবাজ, এদের সরকার যদি টিকে থাকে তাহলে সভ্যতার ইতিহাস, প্রগতির ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যাবে। অতএব, নিশ্চিন্ত থাকুন বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র ভরসা। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শধারী সেই পতাকা বহন করে ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় যাবো।’

প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর